মোঃআজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল:  নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর নিরিবিলি পিকনিক স্পট এর মেইন গেটের সামনে আলী ফকিরের মার্কেট অবস্থিত সেবা ফার্মেসীর এক কথিত হাতুড়ি ডাক্তার মো:ইউসুফ আলীর ভুল চিকিৎসায় রুগীদের বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১নং ভুক্তভোগী লক্ষীপাশা ইউনিয়নের দাসের ডাঙ্গা গ্রামের মোস্তফা কাজী”র স্ত্রী হুরিয়া বেগম অভিযোগ করেন এবং

বলেন আমার শরিলে এলার্জি সমস্যার কারণে সেবা ফার্মেসীর ইউসুফ ডাক্তারের চেম্বারে যায়, সে তখন একটা কাগজে ওষুধ লিখে দিয়ে তার দোকানের থেকে ওষুধ কিনে নিতে হবে বলে জানান হুরিয়া বেগম বলেন ডাক্তারের কথা মত তার দোকানে থাকা তার মেয়ে জামাই এর থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে খেয়েছি এরপর থেকে আমার শরিল ফোলা শুরু হয়,

এবং এলার্জি সমস্যার সমাধান হয় নাই, এরপরে ইউসুফ ডাক্তারের কাছে আবার গেলে সে আবার আমাকে আরও কিছু ওষুধ দেন, সেই ওষুধে কোনো পরিবর্তন না হলে আবার তার কাছে গেলে তিনি আরও কিছু ওষুধ দেন, সেই ওষুধে ও কোনো পরিবর্তন না হয়ে আমার শরিল ফোলা আরও বাড়ে,

এরপরে আমার স্বামী ও পরিবারের লোক আমাকে লোহাগড়ার হাসপাতালে নিয়ে যেয়ে সেখান থেকে ডাক্তার দেখালাম তার পর থেকে আমার শরিলের অবস্থা ভালো হয়েছে। এসময় তিনি ইউসুফ ডাক্তারের থেকে তিন বারে দশ হাজার টাকার বেশি টাকার ওষুধ খেয়েছেন বলে জানান,এদিকে হুরিয়া বেগম এর স্বামী মোস্তফা কাজী বলেন ওই ডাক্তার দেখিয়ে আমার টাকা পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে, আমার স্ত্রী কার কথাই যে ওখানে গেলো,

এরপরে ২নং অভিযোগ কারী একই গ্রামের বিল্লাল ঠাকুরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম এর এলার্জি ও শরিলের গোটা গোটা সমস্যার কারণে সেবা ফার্মেসীর ইউসুফ ডাক্তারের কাছে যায়, ডাক্তার রাজিয়া কে যে ওষুধ নিয়েছেন সেটা খেয়ে রাজিয়া মরার ঘর থেকে ফিরে এসেছেন বলে জানান তার বাবা,

এসময় রাজিয়ার বাবা সবুর সাংবাদিকদের বলেন ওই ডাক্তারের মাইকিং করায় আমার মেয়ে ওখানে যায়, আর ওই ভুয়া ডাক্তার কি ওষুধ যে আমার মেয়ে টা কে দেছেলোরে বাবা ও কোনো ডাক্তার না, এদিকে ৩নং রুগী ওই একই গ্রামের ডাব বিক্রিতা সামছু তার শরিলের এলার্জি সমস্যার কারণে ভুয়া ডাক্তার ইউসুফ কে দেখিয়ে তার দেওয়া ২ থেকে ৩ হাজার টাকার ওষুধ খেয়ে তার মাথা মুখ ফুলে যায়, এবং মাথায় ফোঁড়া ফোঁড়া হয়ে গেলে লোহাগড়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন বলে জানান,

৪নং রুগী একই গ্রামের হাবি ঠাকুর বলেন আমার হাত পা জালা পোড়া করতো আমি ইউসুফ ডাক্তারের মাইকিং করা শুনে তার থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে আমার রোগ তো ভালো হয়ই নাই, আর ওই ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে আমার হাত,পা, মুখ, ফুলে যায়, তারপর ওই ওষুধ খাওয়া বাদ দিছি, এবিষয়ে কথা বলার জন্য ১৩/১১/২০২১তারিখ:শনিবার দুপুরে কথিত ডাক্তার মো: ইউসুফ আলী”র চেম্বারে গেলে তাকে না পাওয়ায়,

সেখানে সাংবাদিক গিয়েছে এই খবর ডাক্তার জানতে পেরে কিছু সময় সাংবাদিক কে বসতে বলে ৫/থেকে ৭ জন লোক নিয়ে হাজির হয় চেম্বারে, তারা এসে সাংবাদিক কে এগুলো নিয়ে নিউজ না করতে বলে চলে যায়। এরপরের দিন ডাক্তারের বক্তব্য আবার ১৪/১১/২০২১রবিবার সকালে আনতে গেলে তিনি সাংবাদিক কে বলেন যে এখন বক্তব্য না নিয়ে বিকেলে আসেন আপনার সাথে কথা হবে,

এসময় তিনি তার কিছু কাগজ পত্র সাংবাদিক কে দেখান। এসময় ওখানের স্থানীয় কিছু লোকের সাথে কথা বলে জানা যায় গত তিন মাস আগে ডাক্তার ইউসুফ ওখানে ওষুধের দোকান ও চেম্বার করে রুগী দেখেন ওই রুগীদের কথা শুনে তারা বিষয় টা প্রশাসনের নজরে আনার জন্য অনুরোধ করেন।